Wednesday, July 24, 2013

WEST BENGAL: WHERE IS SAFETY AND SECURITY OF WOMEN AND GIRLS?

Ganashakti

নিরাপত্তা নেই

মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্যের গ্রাম শহরের মহিলারা। মহিলারা পথে বেরোলে আতঙ্কে সময় গুনছেন তাদের পরিবার। নিরাপত্তা নেই কামদুনি,খরজুনা গ্রামে। নিরাপত্তা নেই যাত্রীবাহী ট্রেনে। নিরাপত্তার অভাব কলকাতা মহানগরীতে। দুষ্কৃতীর হাত এড়াতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে হচ্ছে চাকুরিজীবী মহিলাকে। শহরের বুকে মেট্রো রেলের মধ্যে শ্লীলতাহানি হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পালটা মার খেতে হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে কলকাতা ছেড়ে দেশে চলে যেতে হয়েছে এক ফরাসী তরুণীকে। মমতা ব্যানার্জির পুলিস তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। কোন্‌ রাজ্যে বাস করছি আমরা? কেনই বা পুলিস প্রশাসন এতোটাই নিষ্ক্রিয়? ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার কাজেও রাজ্যের পুলিস যথেষ্ট দুর্বলতা দেখাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পার্কস্ট্রিট, কাটোয়ার ধর্ষণ থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার শুরু। মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে এই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উ‍‌ঠেছে। গত ১৩ই জুলাই রাতে যোধপুর পার্কে তার বাড়ির কাছে শ্লীলতাহানির হুমকি দিতে দিতে এক ফরাসী তরুণীকে তাড়া করে দুষ্কৃতীদল। ঐ ঘটনার পরেই কলকাতা ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন সেই তরুণী। ঐদিন রাতে কোনো পুলিসী নিরাপত্তা পাননি। ফ্রান্স থেকে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতাকে তিনি ভালোবাসেন। কিন্তু ঐ ঘটনার পর বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে। এই বিশ্বাস হারানো আসলে কলকাতার মর্যাদা হারানো।

নারীর প্রতি সম্মান জানানো এবং মর্যাদা রক্ষায় কলকাতা ছিলো সারা দেশের মধ্যে সামনের সারিতে। আজ একের পর এক ঘটনার পর সেই কলকাতাকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন, শহর কলকাতার রাস্তায় সন্ধ্যার পর আর নিরাপদ নন মহিলারা। পুলিসের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরী নয়। পুলিস পেট্রোল, পু‍‌লিস কিয়স্ক, থানা কোনটাই সক্রিয় নয়। শাসক দলের চাপে থাকায় স্থানীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায় পুলিস। এই চাপের উৎস মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনিই থানায় গিয়ে গণ্ডগোলের অভিযোগে আটক দলীয় কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এরপরে পুলিস কি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস করতে পারে? পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দায়ে শাস্তিমূলক বদলি হতে হয়েছিল কলকাতার গোয়েন্দা প্রধানকে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী চাননি পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা ধর্ষণ বলে প্রতিপন্ন হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই সব পদক্ষেপই আজকের এই নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে জনমত। কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। দেশের মধ্যে ব্যতিক্রম সম্ভবত আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে মুর্শিদাবাদের খরজুনায় ধর্ষণ ও হত্যার পর জেলার পুলিস সুপার তাকে সহবাসের ঘটনা বলে লঘু করে দেখাতে চান। পরে জনমতের চাপে পড়ে তাকে মত বদলাতে হয়। কামদুনির ঘটনায় চার্জশিট অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচার প্রক্রিয়াও আটকে যায়। কামদুনি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিস। ধর্ষক ও হত্যাকারীকে ধরতে পুলিস তৎপর নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রাখতে কাল্পনিক মাওবাদীদের খুঁজতে বেশি ব্যস্ত রাজ্যের পুলিস। ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা রুখতে কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত রেল এবং রাজ্য সরকার। গত দু’বছরের মত পশ্চিমবঙ্গ কখনও ধারাবাহিক নারী নিগ্রহের ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। গত ২ বছরে মহিলাদের ওপর যে জঘন্যতম অপরাধগুলি ঘটে গেছে তার কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কী কলকাতা, শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে অপরাধীদের হাত থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44176#sthash.z3Ii6cXF.dpuf

No comments:

Post a Comment