THIS IS PURELY A POLITICAL BLOG OF LEFT ORIENTED PEOPLE OF WEST BENGAL. ITS AIM AND OBJECTIVE IS TO FIGHT AGAINST IMPERIALISTS, THEIR STOOGES, RIGHT REACTIONARIES, PSEUDO INTELLECTUALS, ANTI-NATIONAL TERRORIST OUTFITS AND UPHOLD DEMOCRATIC THINKING IN THE COUNTRY AND SAFEGUARD THE INTEREST OF WORKING CLASS AND TOILING MASSES.
Saturday, July 13, 2013
নির্বিঘ্নে! ‘নির্বিঘ্নে ভোট’ নয়। নির্বিঘ্নে শাসক দলের সন্ত্রাস। প্রথম দফার ভোটের দিন তিন জেলার বড় অংশ জুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ভোটারদের নির্বিঘ্নে হুমকি দিয়েছে। তৃণমূলের বাহিনী বাধাহীনভাবে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার কাজেও বাধা পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে এরাজ্যে। কিন্তু শাসক দলের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। অর্থাৎ আদালত নিরাপত্তা রক্ষার আদেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীও এসেছে আবার শাসক দল বুথ দখলও করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কারণ শুধু সংখ্যা বৃদ্ধি নয়। রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য পুলিস। অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলের পুতুলে পরিণত হয়েছে পুলিস প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। ফলে ভোটারদের অবাধ ভোট দিতে সাহস যোগাতে পারতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে আটকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি। নিয়মানুসারে চার জনের কমে কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। অর্থৎ কোন সিঙ্গল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যাবে না। তিন জেলার মোট ১০ হাজার ৩৮টি বুথের মধ্যে সিঙ্গল বুথ ছিলো ৭ হাজার ৩৪২টি। ফলে এই ৭০ শতাংশ সিঙ্গল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। ভোটারদের মনে সাহস যোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চও করার ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন। বরং বাইকবাহিনীর টহলদারিকেই প্রশ্রয় দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের আদেশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সেই ব্যবস্থার কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ করা যায়নি। প্রথম দফার তিন জেলার বহুজায়গায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। গ্রামের মধ্যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সংগঠিতভাবে হুমকি দিয়েছে। শুধুমাত্র একটি দুটি বুথ দখল নয়, গোটা ব্লক দখল করেছে তৃণমূল। পুলিসের সামনেই চলে বুথ দখল। ব্যালটবক্স ছিনতাই করা হয়। প্রার্থী থেকে ভোটকর্মী, প্রিসাইডিং অফিসার সকলেই আক্রান্ত হন। ভোটপর্বের শুরুতে একদফা সন্ত্রাস চালিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকগুলি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হুমকি, সন্ত্রাস, আক্রমণের ফলে অনেক জায়গাতেই শেষপর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। কমিশন চাইলেও মনোনয়নপর্ব শুরুর সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি এরাজ্যে। সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এই তিনটি জেলায় ৮২৭৩টি আসনের মধ্যে ১৪৬৪টি আসন দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন জেলায় ২৭৭৯টি আসনের মধ্যে ২৪২টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটগ্রহণের প্রথম দফা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষকের আনুষ্ঠানিক উপস্থিতির আড়ালে ছলে, বলে কৌশলে আসন দখল করছে তৃণমূল। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ দেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও তৎপর হওয়া উচিত। ভোট গ্রহণের উপর পর্যবেক্ষকদের নজরদারি আরো বেশি জোরদার করা দরকার। মিডিয়ার পরিবেশিত সংবাদ থেকেও নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন ও টহলদারি কতটা হচ্ছে তা কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি তত্ত্বাবধান করা দরকার। জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা কতটা নিরপেক্ষভাবে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছে সে ব্যাপারে কমিশনের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর অন্যান্য মন্ত্রীরা পরিকল্পনামাফিক কমিশনের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে কমিশনকেই।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment