THIS IS PURELY A POLITICAL BLOG OF LEFT ORIENTED PEOPLE OF WEST BENGAL. ITS AIM AND OBJECTIVE IS TO FIGHT AGAINST IMPERIALISTS, THEIR STOOGES, RIGHT REACTIONARIES, PSEUDO INTELLECTUALS, ANTI-NATIONAL TERRORIST OUTFITS AND UPHOLD DEMOCRATIC THINKING IN THE COUNTRY AND SAFEGUARD THE INTEREST OF WORKING CLASS AND TOILING MASSES.
Wednesday, July 24, 2013
The 33rd national conference of the All India Kisan Sabha (AIKS) began in Cuddalore, Tamilnadu, with a stirring call to the peasantry of the country to unitedly fight back the process of corporatisation of agriculture deliberately unleashed by the UPA government. It also pledged to strive to build a powerful united kisan movement against the anti-farmer neo-liberal policies of the government.
DISHONOUR OF WOMEN IN KOLKATA
Ganashakti
এ লজ্জা রাখবো কোথায়?
বনানী বিশ্বাস
২০০৭ সালে ছেলের কাছে জার্মানিতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন শহরে গেছি আমার পছন্দ মতন শহরে ছেলে নিয়ে গেছে আমাকে। সেটা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয় আজ। ভার্সাই শহর থেকে ট্রেনে ফিরছিলাম। ট্রেনে আমার পাশে এক ফরাসী মহিলা বসেছিলেন। আমার যেহেতু লোকের সঙ্গে আলাপ করার স্বভাব পাশের সিটে বসা মহিলার সঙ্গে আলাপ জমে উঠল কয়েক মিনিটেই। উনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী, সমাজকল্যাণমূলক কাজেই ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশে। আমি যেহেতু ভারতীয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আমাদের কলকাতা শহর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন তিনি ‘‘ক্যালকাটা সিটি অব জয়’’, সেখানকার মানুষ ভীষণ আন্তরিক, প্রয়োজনে সাহায্য করে। অভিভূত হয়ে বললেন ‘এতো আন্তরিকতা খুব কম শহরেই পাওয়া যায়।’ বিদেশিনীর প্রশংসায় স্বাভাবিকভাবে আমিও আপ্লুত হলাম।
২২শে জুলাই এক ফরাসীর যুবতী টেলিগ্রাফ পত্রিকায় মহিলার সাংবাদিককে লেখা চিঠি পড়ে লজ্জায় আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। আরও লজ্জিত হলাম লিখেছেন ‘‘লজ্জা ভুলে যাও শহরের জন্য লড়াই কর’’, ১৩ই জুলাই যোধপুর পার্কে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন এক ফরাসী তরুণী ও তাঁর সহকর্মী। একদল দুষ্কৃতী শ্লীলতাহানির হুমকি দিতে দিতে তাড়া করেছিল তাঁদের। পাঁচজন যুবক চড়াও হয় — তরুণীর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করার পাশাপাশি তাঁর সহকর্মীকে মারধর করে। ঘটনার পরেই কলকাতা ছেড়ে স্বদেশে ফিরে গিয়েছেন আতঙ্কিত তরুণী। ২০শে জুলাই টেলিগ্রাফের সুদেষ্ণা ব্যানার্জিকে ই-মেলে এবং সমঋতা ভট্টাচার্যকে ফেস বুকে কথা বললেন তিনি ফ্রান্সের মঁপেইয়ে শহর থেকে। এই প্রথম তাঁর মুখ থেকে সবিস্তার ঘটনা এবং এই শহর সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা গেল।
তিনি জানিয়েছেন ‘‘নারী-পুরুষ, যুব-বৃদ্ধা, ধনী-দরিদ্র সকলে মিলে সর্বশক্তি দিয়ে লড়তে হবে নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে এবং কলকাতা শহরে তোমরা যেমনভাবে থাকতে চাও তেমনি তৈরি কর।’’
আলিয়াঁস ফ্রান্সে শিক্ষার্থী হিসেবে গবেষণা করতে এসেছিলেন এবং ১৬ই জুলাই তাঁর সমস্ত নির্ধারিত কাজ ফেলে চলে গেছেন। একটা বার্তা রেখে গেছেন কলকাতা শহরের জন্য তাঁকে পালিয়ে আসতে হয়েছে ঠিকই এবং তিনি ফিরে আসবেন কলকাতায় পর্যটক হিসেবে।
২০শে জুলাই ছিল তরুণীর জন্মদিন — তিনি কলকাতায় এবার বন্ধুদের সঙ্গে পালন করতে চেয়েছিলেন। কলকাতার বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করবেন এইরকমই পরিকল্পনা ছিল। হঠাৎ এমন আকস্মিক ঘটনা ঘটল দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন। প্রিয় কলকাতা শহর থেকে ভয়ে পালিয়ে আসতে হলো। কলকাতাকে ভালবাসার জায়গাটা তাঁর হারিয়ে গেল। কলকাতাকে ভালবেসে যে আনন্দ ছিল আজ সেটা হারিয়ে গেছে।
ভারতীয় ও বাঙালী সংস্কৃতির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ গর্বিত ও খুশি হয়েছিলেন। অর্জন করেছিলেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা, কাজ ছেড়ে দিয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন বটে কিন্তু কষ্টও পেয়েছেন। ইন্টার্নশিপ শেষ না করেই দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হলেন, তাঁর বন্ধুরা রয়ে গেল কলকাতায়। তিনি এখনও পড়াশুনা করেন তাই ফ্রান্সে ফিরে আসাটা খুবই কঠিন এবং ব্যয়সাপেক্ষ হলো।
কলকাতায় ১৩ই জুলাই রাতে ফরাসী তরুণীর সঙ্গে যা হয়েছিল সেটা যে-কোনও জায়গায় হতে পারতো, তিনি এখন নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করেছে কারণ তিনি পালাতে পেরেছেন। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যেন দৈনন্দিন ঘটনা। সংবাদপত্রে রোজই গণধর্ষণ অথবা মহিলাদের শ্লীলতাহানির খবর ওঁর চোখে পড়েছে। কলকাতায় যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁদের ভদ্রতার তুলনা হয় না। একদিনের দুর্ঘটনার সঙ্গে কলকাতার সুখ-স্মৃতিকে তিনি ভুলতে চান না। দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছেন যে কলকাতায় সম্প্রতি মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব দেখা গেছে। কলকাতায় থাকাকালীন অনেক মায়েদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন তাঁরা মেয়েদের বাড়ির বাইরে যেতে দিতে ভয় পান। বিপদের আশঙ্কা করেন। শহরে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁদের দৃষ্টিটা খারাপ তাঁরা কারণে অকারণে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করার চেষ্টা করে। কলকাতায় মেট্রো বা বাসে চলাফেরা করার সময়ে তাঁরও এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। ১৩ই জুলাই নিজের বাড়ির কাছে যেটা হলো তা অভাবনীয়। তাঁর মনে হয়েছে এই ধরনের কাজ যে কেউ যখন তখন করতে পারে, তাদের বাধা দেবার কেউ নেই। সমাজের একাংশ শৈশব থেকে প্রবৃত্তিটাকে প্রশ্রয় দেয়। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এইরকম পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে বাধ্য। সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই উদ্যোগী হবেন।
কলকাতার বন্ধুরা যেভাবে পাশে থেকে সমবেদনা জানিয়েছেন — তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যে রাতে তাঁর তিনজন বন্ধুদের যারা ওনাকে সাহায্য করেছেন। কলকাতাবাসী হিসেবে তাঁরা লজ্জিত। বন্ধুদের জানিয়েছেন কলকাতার কাজ শেষ না করে চলে আসায় তাঁদের ব্যথিত হওয়ার কারণ নেই। এমন ঘটনা অন্য কোন শহরেও হতে পারত। তবে একথাটা সত্যি কলকাতায় থাকার সময়ে তিনি দেখেছেন রাস্তাঘাটে মহিলাদের চলাফেরাটা বেশ আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কলকাতায় এখন ফেরার ইচ্ছে নেই। কলকাতা এখন আর নিরাপদ নয় — সেখানে কাজ করার ইচ্ছে আপাতত নেই। কলকাতায় হয়তো কোনদিন বেড়াতে যাব — তখন অনেক সতর্ক থাকবো। কলকাতাকে এখনও ভালোবাসি নিঃসন্দেহে বিশ্বাসটায় আঘাত লেগেছে।
আমার লজ্জা ছয় বছর আগের ট্রেনের সহযাত্রীর কাছে, তিনিও কলকাতাকে ভালোবেসেছিলেন। তিনি ফরাসী তরুণীর অভিজ্ঞতা জেনেছেন কিনা জানি না। ভরসা রাখুন আমরা ফিরিয়ে আনবো আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। নিশ্চয়ই পারবো।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44179#sthash.m8hNnovb.dpuf
MAMATA BANERJEE AND MCCARTHYISM
Ganashakti
মমতার ম্যাকার্থিবাদ
শান্তনু দে
‘সোনার কেল্লা’ ছবির কিছু সংলাপ ব্যবহার করে ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। হালকা কার্টুন ‘ফরোয়ার্ড’ করার ‘অপরাধে’ অধ্যাপককে রাত কাটাতে হয় লক-আপে। মামলা চলছে এখনও।
খাস জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির যুবক শিলাদিত্য চৌধুরীকে ‘মাসুল’ দিতে হয় তাঁর নিতান্তই নিরীহ প্রশ্নের জন্য। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন শালমহলের গরিব কৃষক শিলাদিত্য প্রশ্ন করেছিলেন বাড়তে থাকা সারের দাম নিয়ে। মঞ্চ থেকেই ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী দেগে দেন, ‘আমার কাছে খবর আছে মিটিং ডিসটার্ব করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। এই একজনকে আমি ধরিয়ে দিলাম, ও মাওবাদী’।
কলকাতায় টাউন হলে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনাসভায় ‘অপ্রিয়’ প্রশ্ন করেছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তানিয়া ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই মমতা বেমালুম বলে দেন তানিয়া ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার।’
কামদুনির টুম্পা-মৌসুমীরা নিজেদের দুরবস্থার কথা জানাতে চাইলে ‘চোপ’ বলে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দেন ‘ওরা সি পি এম। ওরা মাওবাদী।’
পাঁচ মিনিটেই তিনি বুঝে যান কে মাওবাদী আর কে নয়। কে সি পি এম আর কে নয়। ‘দুর্বৃত্ত চ্যানেলে’র বিদ্বজ্জনদের আলোচনায় কারা পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। বোঝার ক্ষমতা চাই। সবাই কি সব বোঝে! তিনি বোঝেন। সব বোঝেন। শুধু বুঝতে পারেননি সারদা’র সুদীপ্ত সেনকে।
যেমন বুঝতেন ম্যাকার্থি। জোশেফ ম্যাকার্থি।
চার্লি চ্যাপলিন থেকে ব্রেখট, পল রবসন থেকে পিট সিগার — কেউই রেহাই পাননি। এই বঙ্গে মমতা ফিরিয়ে এনেছেন বিশ শতকের সেই ম্যাকার্থিবাদ।
ম্যাকার্থিবাদ — বোস্টন থেকে প্রকাশিত আমেরিকান হেরিটেজ ডিকশেনরির সংজ্ঞায় — ‘বিরোধীদের দমন করতে অন্যায় অন্যায্য তদন্ত অথবা দোষারোপের প্রক্রিয়া।’
১৯৫০-’৫৪। গোটা আমেরিকাজুড়ে কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগির। মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে ‘লাল আতঙ্কের দ্বিতীয় জমানা।’
প্রথম জমানা ১৯১৭সালে। ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিনে’র পর। সোভিয়েত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করলেন মার্কিন রাজনীতিকরা। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত ক্ষেত্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ‘ওই রাশিয়ানরা আসছে।’ ১৯৫৫সালে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা প্রেস থেকে প্রকাশিত রবার্ট আর কে মারের লেখা ‘রেড স্কেয়ার : এ স্ট্যাডি ইন হিস্টিরিয়া, ১৯১৯-২০’-তে আছে তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ।
দ্বিতীয়বার ম্যাকার্থির সময়।
ম্যাকার্থি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনস্টিন প্রদেশ থেকে নির্বাচিত মার্কিন সেনেটের দাপুটে সদস্য। তার আগে থেকেই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি। যদিও প্রচারের আলোয় আসেন ’৫০-র ফেব্রুয়ারিতে। লিঙ্কন দিবসের ভাষণ থেকে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় রিপাবলিকান উইমেন্স ক্লাব অব হুইলিংয়ে ম্যাকার্থি দাবি করেন, বিদেশ দপ্তরে কাজ করছেন এমন কমিউনিস্ট গুপ্তচরদের নামের তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে, যারা দেশকে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘আমার কাছে ২০৫জনের একটি তালিকা রয়েছে — মার্কিন বিদেশসচিবকে সেই তালিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, এঁরা সবাই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। এঁরা এখন শুধু বিদেশদপ্তরে কাজই করছেন না, নীতি নির্ধারণেও ভূমিকা নিচ্ছেন।’ পরে তালিকার সংখ্যা কমিয়ে করেন ৫৭, আর চাপের মুখে মাত্র চারজনের নাম জানানোর কথা বলেন।
মার্কিন প্রতিনিধিসভার ‘মার্কিন-বিরোধী কার্যকলাপ (আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস) কমিটি’র সমান্তরাল হিসেবে তখন কাজ করছে ম্যাকার্থির কমিটি। তিনি তখন মার্কিন সেনেটের ‘স্থায়ী তদন্ত সাব কমিটি’র প্রধান।
কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, নাট্যকার-শিল্পী থেকে বিজ্ঞানী — যাঁকে নিয়েই বিন্দুমাত্র সন্দেহ জেগেছে, তাঁকেই ‘কমিউনিস্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন। সেনাবাহিনীর ভিতরে, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসেও কমিউনিস্টরা আস্তানা গেড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। সর্বত্রই দেখেন কমিউনিস্টদের ভূত। নেমে পড়েন ‘ডাইনি সন্ধানে।’
যা ক্রমেই পরিণত হয় গণ-হিস্টিরিয়ায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, অঞ্চলে ‘কালো তালিকা’ করে কমিউনিস্ট তকমা লাগিয়ে শুরু হয় বয়কট অভিযান। এই জিগির কার্যত ছিনিয়ে নেয় মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীন চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। ভয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন সকলেই। ম্যাকার্থিবাদের কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগিরের শিকার হন বহু নিরীহ, নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ।
সেনাকর্তারা তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ ম্যাকার্থির চোখ রাঙিয়ে বলেন, ‘কমিউনিস্টদের লালন করছে এমন নামের তালিকা কি সেনাবাহিনী দেবে, না কি আমরা তাদের সেনেটে ডেকে পাঠাব?’ দাবি করেন বিরাট সংখ্যায় কমিউনিস্ট সদস্য এবং সোভিয়েত গুপ্তচরেরা রয়েছেন মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরে। এবং সর্বত্র। কোনও তথ্য-প্রমাণের তোয়াক্কা না করে, কাউকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হলেই ‘কমিউনিস্ট’ তকমা সেঁটে দিতেন। ডেকে আনতেন সেনেটের শুনানিতে। ম্যাকার্থির অভিযোগের ভিত্তিতে, মিথ্যা প্ররোচনায় চাকরি খোয়ান অনেকে। কেউ কেউ হন একঘরে। কেউবা অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
‘কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে?’ — মার্কিন মুলুকে আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস কমিটি ঠিক ওই সময়েই প্রকাশ করে একটি প্যামপ্লেট: ‘হান্ড্রেড থিংস শুড নো অ্যাবাউট কমিউনিজম ইন ইউ এস এ’।
তাতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে কমিউনিস্টরা মানে :
প্রশ্ন : আমার বীমার কী হবে?
উত্তর : বীমা যাবে কমিউনিস্টদের পকেটে।
প্রশ্ন : কমিউনিজম কি এর চেয়ে ভালো কিছু দিতে পারে?
উত্তর : জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করানো ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়ার নেই।
ইন্ডিয়ানা প্রদেশের পাঠ্যবই কমিশনের পদস্থ অফিসার আদা হোয়াইট রবিন হুডের গল্প স্কুল থেকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তব দেন। তাঁর দাবি, ‘রবিন হুড ছিলেন একজন কমিউনিস্ট।’
মার্কিন সেনাবাহিনী প্রকাশ করে ছ’পাতার প্যামপ্লেট : ‘কীভাবে চিহ্নিত করবেন একজন কমিউনিস্টকে?’
তীব্র কমিউনিস্ট বিদ্বেষ, কুৎসা প্রচার এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মানুষ সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। যে কোনও প্রতিবাদকেই ‘দেশদ্রোহী’ (আন-আমেরিকান), ‘আতঙ্কবাদী’ তকমা সাঁটিয়ে কন্ঠরোধ করা ছিল দস্তুর।
এই ২০শে জুন ছিল রোজেনবার্গ দম্পতি হত্যার ৬০-তম বার্ষিকী। গোপনে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের কাছে আমেরিকার আণবিক বোমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে জুলিয়াস ও ইথেল রোজেনবার্গকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। সি আই এ এবং এফ বি আই ঝুড়ি ঝুড়ি জাল তথ্য দিয়ে ফাঁসায় সম্পূর্ণ নির্দোষ এই দম্পতিকে।
এই ভুয়ো মামলায় শাস্তি — মৃত্যুদণ্ড। রোজেনবার্গ মামলা চলাকালীনই এর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে বিভিন্ন গবেষক ও লেখক অজস্র তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন পুরোটাই সাজানো ছিল এই মামলা। তিন বছর ধরে চালানো হয় এই মামলা।
আলবার্ট আইনস্টাইন, নোবেলজয়ী পরমাণু বিজ্ঞানী হ্যারল্ড সি উরে, কবি লুই আরাগঁ, লেখজ জ্যাঁ পল সাত্রের মতো বিশিষ্টরা মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানান। তবু নির্বিকার থাকে মার্কিন প্রশাসন। ১৯৫৩’র ১৯শে জুন সম্পূর্ণ নিরাপরাধ রোজেনবার্গ দম্পতিকে বসানো হয় ইলেকট্রিক চেয়ারে। আসলে সেই সময় কমিউনিস্ট জুজুর ভয় দেখানোর জন্যই দরকার হয়ে পড়েছিল এই মামলা। রোজেনবার্গ দম্পতির বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা ম্যাকার্থির প্রচারকে দেয় জনসমর্থন।
যুক্তিহীন, আদর্শহীন, মানবতাবিরোধী এই ভয়ঙ্কর প্রচারের প্রধান পুরোহিত ছিলেন ম্যাকার্থি। এই কুৎসা প্রচারের শিকার ছিলেন চার্লি চ্যাপলিন, ব্রেখট, আর্থার মিলার, হাওয়ার্ড ফাস্ট, পিট সিগার, পল রবসন, পল সুইজি, ল্যাঙস্টন হিউজ, নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লাওনাস পাওলিংয়ের মতো সর্বকালের অন্যতম চিন্তাবিদ, মনীষী, শিল্পীসহ মানবতাবাদীরা।
ট্রুমানের বিখ্যাত উক্তি, ‘একটি স্বাধীন দেশে মানুষের শাস্তি পাওয়া উচিত তাঁর অপরাধের জন্য, কিন্তু কখনোই বিশ্বাসের জন্য নয়।’
ডিসেম্বর, ১৯৫৪। সেনেটের একজন সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য সেনেট ‘সেন্সর’ করে ম্যাকার্থিকে। তিনবছর বাদে ৪৮বছর বয়েসে তিনি মারা যান।
যদিও আজও তিনি আছেন। ফিরে এসেছেন এই বাংলায়। ম্যাকার্থির ব্যাটন এখন মমতার হাতে।
সময়টা কঠিন। আক্রমণ দৈহিক। আক্রমণ মতাদর্শগত। প্রতিদিন শহীদ হচ্ছেন কমরেডরা। ছাড়তে হচ্ছে এলাকা। গুঁড়িয়ে যাচ্ছে পার্টি অফিস। আক্রমণ কেবল পার্টির ওপর নয়, আক্রমণ ৩৪বছরে বামফ্রন্ট সরকারের মাধ্যমে মানুষ যা অর্জন করেছেন তার ওপর। আক্রান্ত শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার। ছাত্রের নিজস্ব সংসদ। আক্রান্ত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান। আর এসব ছাপিয়ে মাথা তুলছে ভূমিসংস্কারের মাধ্যমে গরিব কৃষকের অর্জিত জমির ওপর আক্রমণ।
এখন মুখ্যমন্ত্রী একাই শুধু কথা বলবেন। বাকিদের চুপ করে শুনতে হবে। এখন কথা বলাও যেন অপরাধ। প্রতিবাদ করলে, প্রশ্ন করলেই ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার’।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বলতেন, ‘মাও-ফাও’ বলে কিছু নেই পশ্চিমবঙ্গে, ‘সব সি পি এমের প্রচার’। কারণ, সেসময় তৃণমূল-মাওবাদীদের ঘাতকবাহিনী খুন করে চলেছে সি পি আই (এম) নেতা-কর্মীদের। তাই তখন মাওবাদীদের আড়াল করা ছিল তাঁর পবিত্র রাজনৈতিক কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এখন তিনি সর্বত্র মাওবাদী দেখছেন। শুধু দেখতে পান না জঙ্গলমহলে। পুলিস লাইন থেকে বেরিয়ে যেখানে তৃণমূলের প্রচারে মাওবাদীরা। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে জেলাপরিষদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে? সুচিত্রা মাহাতোর স্বামী, ‘প্রাক্তন’ মাওবাদী প্রবীর গড়াই।
আসলে মাওবাদীদের বিলক্ষণ দেখছেন। কোথাও না দেখে বলছেন। জেনেবুঝেই বলছেন। যেমন কামদুনি। কোথাও দেখেও বলছেন না। যেমন জঙ্গলমহল। আসলে দেখছেন ‘সি পি এমের ভূত’। প্রতিবাদ, বিরোধিতা দেখলেই ‘মাওবাদী হিস্টিরিয়া’ তৈরির ছক।
রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে দু’বছরেই প্রায় আট হাজার সি পি আই(এম) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। এক বর্ধমানেই ১হাজারের বেশি সি পি আই (এম) কর্মী ও নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। সত্তরোর্ধ্ব প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ। ভোটের দিন দেখে সি আই ডি জেরার দিন ঠিক করা। কোথাকার কোন্ খুনের সঙ্গে পার্টিনেতাকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাড়াহুড়োতে পুলিসও ঠিকমতো সাজিয়ে উঠতে পারে না। ‘খুনের আসামী’র জন্য চায় না পুলিস হেফাজত। জেরার দরকার নেই তো! ভোটের দিন জেলে আটকে রাখলেই যথেষ্ট।
প্রতি মুহূর্তেই আক্রান্ত গণতন্ত্র। চলছে দলতন্ত্রের স্টিম রোলার।
পরিবর্তনের দু’বছরে ১০০জন বামফ্রন্ট কর্মী শহীদ।
আক্রমণ এখন শুধু বামপন্থীদের উপরেই সীমাবদ্ধ নেই। আক্রান্ত এখন সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিকরাও। তৃণমূলের হাতে কংগ্রেস কর্মী খুন। তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন। চাপের মুখে সি আই ডি তদন্ত। পরিবার চায় সি বি আই তদন্ত। সরকারী লাইব্রেরির তালিকা থেকে বাদ ‘অপ্রিয়’ সংবাদপত্র। তালিকায় চিট ফান্ডের সংবাদপত্রগুলিকে গুরুত্ব। তাঁবেদারি না করলেই নিষেধাজ্ঞা।
আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। প্রতিবাদ করার গণতন্ত্র।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44178#sthash.iHvkGjO5.dpuf
MAMATA BANERJEE AND MCCARTHYISM
Ganashakti
মমতার ম্যাকার্থিবাদ
শান্তনু দে
‘সোনার কেল্লা’ ছবির কিছু সংলাপ ব্যবহার করে ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। হালকা কার্টুন ‘ফরোয়ার্ড’ করার ‘অপরাধে’ অধ্যাপককে রাত কাটাতে হয় লক-আপে। মামলা চলছে এখনও।
খাস জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির যুবক শিলাদিত্য চৌধুরীকে ‘মাসুল’ দিতে হয় তাঁর নিতান্তই নিরীহ প্রশ্নের জন্য। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন শালমহলের গরিব কৃষক শিলাদিত্য প্রশ্ন করেছিলেন বাড়তে থাকা সারের দাম নিয়ে। মঞ্চ থেকেই ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রী দেগে দেন, ‘আমার কাছে খবর আছে মিটিং ডিসটার্ব করার চক্রান্ত করছে কেউ কেউ। এই একজনকে আমি ধরিয়ে দিলাম, ও মাওবাদী’।
কলকাতায় টাউন হলে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনাসভায় ‘অপ্রিয়’ প্রশ্ন করেছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তানিয়া ভরদ্বাজ। অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই মমতা বেমালুম বলে দেন তানিয়া ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার।’
কামদুনির টুম্পা-মৌসুমীরা নিজেদের দুরবস্থার কথা জানাতে চাইলে ‘চোপ’ বলে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দেন ‘ওরা সি পি এম। ওরা মাওবাদী।’
পাঁচ মিনিটেই তিনি বুঝে যান কে মাওবাদী আর কে নয়। কে সি পি এম আর কে নয়। ‘দুর্বৃত্ত চ্যানেলে’র বিদ্বজ্জনদের আলোচনায় কারা পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত। বোঝার ক্ষমতা চাই। সবাই কি সব বোঝে! তিনি বোঝেন। সব বোঝেন। শুধু বুঝতে পারেননি সারদা’র সুদীপ্ত সেনকে।
যেমন বুঝতেন ম্যাকার্থি। জোশেফ ম্যাকার্থি।
চার্লি চ্যাপলিন থেকে ব্রেখট, পল রবসন থেকে পিট সিগার — কেউই রেহাই পাননি। এই বঙ্গে মমতা ফিরিয়ে এনেছেন বিশ শতকের সেই ম্যাকার্থিবাদ।
ম্যাকার্থিবাদ — বোস্টন থেকে প্রকাশিত আমেরিকান হেরিটেজ ডিকশেনরির সংজ্ঞায় — ‘বিরোধীদের দমন করতে অন্যায় অন্যায্য তদন্ত অথবা দোষারোপের প্রক্রিয়া।’
১৯৫০-’৫৪। গোটা আমেরিকাজুড়ে কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগির। মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে ‘লাল আতঙ্কের দ্বিতীয় জমানা।’
প্রথম জমানা ১৯১৭সালে। ‘দুনিয়া কাঁপানো দশদিনে’র পর। সোভিয়েত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করলেন মার্কিন রাজনীতিকরা। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্ত ক্ষেত্রে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ‘ওই রাশিয়ানরা আসছে।’ ১৯৫৫সালে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা প্রেস থেকে প্রকাশিত রবার্ট আর কে মারের লেখা ‘রেড স্কেয়ার : এ স্ট্যাডি ইন হিস্টিরিয়া, ১৯১৯-২০’-তে আছে তার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ।
দ্বিতীয়বার ম্যাকার্থির সময়।
ম্যাকার্থি তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনস্টিন প্রদেশ থেকে নির্বাচিত মার্কিন সেনেটের দাপুটে সদস্য। তার আগে থেকেই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি। যদিও প্রচারের আলোয় আসেন ’৫০-র ফেব্রুয়ারিতে। লিঙ্কন দিবসের ভাষণ থেকে। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় রিপাবলিকান উইমেন্স ক্লাব অব হুইলিংয়ে ম্যাকার্থি দাবি করেন, বিদেশ দপ্তরে কাজ করছেন এমন কমিউনিস্ট গুপ্তচরদের নামের তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে, যারা দেশকে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
‘আমার কাছে ২০৫জনের একটি তালিকা রয়েছে — মার্কিন বিদেশসচিবকে সেই তালিকা দিয়ে জানানো হয়েছিল, এঁরা সবাই কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। এঁরা এখন শুধু বিদেশদপ্তরে কাজই করছেন না, নীতি নির্ধারণেও ভূমিকা নিচ্ছেন।’ পরে তালিকার সংখ্যা কমিয়ে করেন ৫৭, আর চাপের মুখে মাত্র চারজনের নাম জানানোর কথা বলেন।
মার্কিন প্রতিনিধিসভার ‘মার্কিন-বিরোধী কার্যকলাপ (আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস) কমিটি’র সমান্তরাল হিসেবে তখন কাজ করছে ম্যাকার্থির কমিটি। তিনি তখন মার্কিন সেনেটের ‘স্থায়ী তদন্ত সাব কমিটি’র প্রধান।
কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, নাট্যকার-শিল্পী থেকে বিজ্ঞানী — যাঁকে নিয়েই বিন্দুমাত্র সন্দেহ জেগেছে, তাঁকেই ‘কমিউনিস্ট’ বলে অভিযুক্ত করেন। সেনাবাহিনীর ভিতরে, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসেও কমিউনিস্টরা আস্তানা গেড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। সর্বত্রই দেখেন কমিউনিস্টদের ভূত। নেমে পড়েন ‘ডাইনি সন্ধানে।’
যা ক্রমেই পরিণত হয় গণ-হিস্টিরিয়ায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, অঞ্চলে ‘কালো তালিকা’ করে কমিউনিস্ট তকমা লাগিয়ে শুরু হয় বয়কট অভিযান। এই জিগির কার্যত ছিনিয়ে নেয় মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীন চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। ভয়ে মুখ বন্ধ রাখতেন সকলেই। ম্যাকার্থিবাদের কমিউনিস্ট বিদ্বেষী জিগিরের শিকার হন বহু নিরীহ, নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ।
সেনাকর্তারা তাঁর প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ ম্যাকার্থির চোখ রাঙিয়ে বলেন, ‘কমিউনিস্টদের লালন করছে এমন নামের তালিকা কি সেনাবাহিনী দেবে, না কি আমরা তাদের সেনেটে ডেকে পাঠাব?’ দাবি করেন বিরাট সংখ্যায় কমিউনিস্ট সদস্য এবং সোভিয়েত গুপ্তচরেরা রয়েছেন মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরে। এবং সর্বত্র। কোনও তথ্য-প্রমাণের তোয়াক্কা না করে, কাউকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হলেই ‘কমিউনিস্ট’ তকমা সেঁটে দিতেন। ডেকে আনতেন সেনেটের শুনানিতে। ম্যাকার্থির অভিযোগের ভিত্তিতে, মিথ্যা প্ররোচনায় চাকরি খোয়ান অনেকে। কেউ কেউ হন একঘরে। কেউবা অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
‘কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে?’ — মার্কিন মুলুকে আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটিস সংক্রান্ত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস কমিটি ঠিক ওই সময়েই প্রকাশ করে একটি প্যামপ্লেট: ‘হান্ড্রেড থিংস শুড নো অ্যাবাউট কমিউনিজম ইন ইউ এস এ’।
তাতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে কমিউনিস্টরা মানে :
প্রশ্ন : আমার বীমার কী হবে?
উত্তর : বীমা যাবে কমিউনিস্টদের পকেটে।
প্রশ্ন : কমিউনিজম কি এর চেয়ে ভালো কিছু দিতে পারে?
উত্তর : জীবনভর কঠোর পরিশ্রম করানো ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়ার নেই।
ইন্ডিয়ানা প্রদেশের পাঠ্যবই কমিশনের পদস্থ অফিসার আদা হোয়াইট রবিন হুডের গল্প স্কুল থেকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তব দেন। তাঁর দাবি, ‘রবিন হুড ছিলেন একজন কমিউনিস্ট।’
মার্কিন সেনাবাহিনী প্রকাশ করে ছ’পাতার প্যামপ্লেট : ‘কীভাবে চিহ্নিত করবেন একজন কমিউনিস্টকে?’
তীব্র কমিউনিস্ট বিদ্বেষ, কুৎসা প্রচার এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মানুষ সত্য-মিথ্যা বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। যে কোনও প্রতিবাদকেই ‘দেশদ্রোহী’ (আন-আমেরিকান), ‘আতঙ্কবাদী’ তকমা সাঁটিয়ে কন্ঠরোধ করা ছিল দস্তুর।
এই ২০শে জুন ছিল রোজেনবার্গ দম্পতি হত্যার ৬০-তম বার্ষিকী। গোপনে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের কাছে আমেরিকার আণবিক বোমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে জুলিয়াস ও ইথেল রোজেনবার্গকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যা ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। সি আই এ এবং এফ বি আই ঝুড়ি ঝুড়ি জাল তথ্য দিয়ে ফাঁসায় সম্পূর্ণ নির্দোষ এই দম্পতিকে।
এই ভুয়ো মামলায় শাস্তি — মৃত্যুদণ্ড। রোজেনবার্গ মামলা চলাকালীনই এর ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে বিভিন্ন গবেষক ও লেখক অজস্র তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন পুরোটাই সাজানো ছিল এই মামলা। তিন বছর ধরে চালানো হয় এই মামলা।
আলবার্ট আইনস্টাইন, নোবেলজয়ী পরমাণু বিজ্ঞানী হ্যারল্ড সি উরে, কবি লুই আরাগঁ, লেখজ জ্যাঁ পল সাত্রের মতো বিশিষ্টরা মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন জানান। তবু নির্বিকার থাকে মার্কিন প্রশাসন। ১৯৫৩’র ১৯শে জুন সম্পূর্ণ নিরাপরাধ রোজেনবার্গ দম্পতিকে বসানো হয় ইলেকট্রিক চেয়ারে। আসলে সেই সময় কমিউনিস্ট জুজুর ভয় দেখানোর জন্যই দরকার হয়ে পড়েছিল এই মামলা। রোজেনবার্গ দম্পতির বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা ম্যাকার্থির প্রচারকে দেয় জনসমর্থন।
যুক্তিহীন, আদর্শহীন, মানবতাবিরোধী এই ভয়ঙ্কর প্রচারের প্রধান পুরোহিত ছিলেন ম্যাকার্থি। এই কুৎসা প্রচারের শিকার ছিলেন চার্লি চ্যাপলিন, ব্রেখট, আর্থার মিলার, হাওয়ার্ড ফাস্ট, পিট সিগার, পল রবসন, পল সুইজি, ল্যাঙস্টন হিউজ, নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী লাওনাস পাওলিংয়ের মতো সর্বকালের অন্যতম চিন্তাবিদ, মনীষী, শিল্পীসহ মানবতাবাদীরা।
ট্রুমানের বিখ্যাত উক্তি, ‘একটি স্বাধীন দেশে মানুষের শাস্তি পাওয়া উচিত তাঁর অপরাধের জন্য, কিন্তু কখনোই বিশ্বাসের জন্য নয়।’
ডিসেম্বর, ১৯৫৪। সেনেটের একজন সদস্য হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করার জন্য সেনেট ‘সেন্সর’ করে ম্যাকার্থিকে। তিনবছর বাদে ৪৮বছর বয়েসে তিনি মারা যান।
যদিও আজও তিনি আছেন। ফিরে এসেছেন এই বাংলায়। ম্যাকার্থির ব্যাটন এখন মমতার হাতে।
সময়টা কঠিন। আক্রমণ দৈহিক। আক্রমণ মতাদর্শগত। প্রতিদিন শহীদ হচ্ছেন কমরেডরা। ছাড়তে হচ্ছে এলাকা। গুঁড়িয়ে যাচ্ছে পার্টি অফিস। আক্রমণ কেবল পার্টির ওপর নয়, আক্রমণ ৩৪বছরে বামফ্রন্ট সরকারের মাধ্যমে মানুষ যা অর্জন করেছেন তার ওপর। আক্রান্ত শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার। ছাত্রের নিজস্ব সংসদ। আক্রান্ত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান। আর এসব ছাপিয়ে মাথা তুলছে ভূমিসংস্কারের মাধ্যমে গরিব কৃষকের অর্জিত জমির ওপর আক্রমণ।
এখন মুখ্যমন্ত্রী একাই শুধু কথা বলবেন। বাকিদের চুপ করে শুনতে হবে। এখন কথা বলাও যেন অপরাধ। প্রতিবাদ করলে, প্রশ্ন করলেই ‘মাওবাদী, সি পি এমের ক্যাডার’।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বলতেন, ‘মাও-ফাও’ বলে কিছু নেই পশ্চিমবঙ্গে, ‘সব সি পি এমের প্রচার’। কারণ, সেসময় তৃণমূল-মাওবাদীদের ঘাতকবাহিনী খুন করে চলেছে সি পি আই (এম) নেতা-কর্মীদের। তাই তখন মাওবাদীদের আড়াল করা ছিল তাঁর পবিত্র রাজনৈতিক কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এখন তিনি সর্বত্র মাওবাদী দেখছেন। শুধু দেখতে পান না জঙ্গলমহলে। পুলিস লাইন থেকে বেরিয়ে যেখানে তৃণমূলের প্রচারে মাওবাদীরা। বাঁকুড়ার কোতুলপুরে জেলাপরিষদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে? সুচিত্রা মাহাতোর স্বামী, ‘প্রাক্তন’ মাওবাদী প্রবীর গড়াই।
আসলে মাওবাদীদের বিলক্ষণ দেখছেন। কোথাও না দেখে বলছেন। জেনেবুঝেই বলছেন। যেমন কামদুনি। কোথাও দেখেও বলছেন না। যেমন জঙ্গলমহল। আসলে দেখছেন ‘সি পি এমের ভূত’। প্রতিবাদ, বিরোধিতা দেখলেই ‘মাওবাদী হিস্টিরিয়া’ তৈরির ছক।
রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে দু’বছরেই প্রায় আট হাজার সি পি আই(এম) নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। এক বর্ধমানেই ১হাজারের বেশি সি পি আই (এম) কর্মী ও নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। সত্তরোর্ধ্ব প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ। ভোটের দিন দেখে সি আই ডি জেরার দিন ঠিক করা। কোথাকার কোন্ খুনের সঙ্গে পার্টিনেতাকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা। তাড়াহুড়োতে পুলিসও ঠিকমতো সাজিয়ে উঠতে পারে না। ‘খুনের আসামী’র জন্য চায় না পুলিস হেফাজত। জেরার দরকার নেই তো! ভোটের দিন জেলে আটকে রাখলেই যথেষ্ট।
প্রতি মুহূর্তেই আক্রান্ত গণতন্ত্র। চলছে দলতন্ত্রের স্টিম রোলার।
পরিবর্তনের দু’বছরে ১০০জন বামফ্রন্ট কর্মী শহীদ।
আক্রমণ এখন শুধু বামপন্থীদের উপরেই সীমাবদ্ধ নেই। আক্রান্ত এখন সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিকরাও। তৃণমূলের হাতে কংগ্রেস কর্মী খুন। তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন। চাপের মুখে সি আই ডি তদন্ত। পরিবার চায় সি বি আই তদন্ত। সরকারী লাইব্রেরির তালিকা থেকে বাদ ‘অপ্রিয়’ সংবাদপত্র। তালিকায় চিট ফান্ডের সংবাদপত্রগুলিকে গুরুত্ব। তাঁবেদারি না করলেই নিষেধাজ্ঞা।
আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। প্রতিবাদ করার গণতন্ত্র।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44178#sthash.iHvkGjO5.dpuf
LUMPEN RAJ AT RABINDRA BHARATI UNIVERSITY
Ganashakti
রবীন্দ্রভারতীতে দুষ্কৃতীরাজ?
ভোটে জেতার পর বিজয় মিছিলের বদলে পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারস্বরে মাইক বাজিয়ে তিন-চারদিন ধরে তৃণমূল কর্মীরা এলাকার মানুষকে দিবারাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে শুধু বাধ্য করেনি, অনেকেরই শিরঃপীড়া অনিবার্য করে দিয়েছিল। পরে শহরের মোড়ে পথচারীদের রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাবার স্থায়ী ব্যবস্থা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। সরকারী উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর আয়োজন হচ্ছে সাড়ম্বরে ঘটা করে। এহেন ‘রবীন্দ্রভক্ত’ মুখ্যমন্ত্রীর ‘রবীন্দ্রময়’ সরকারের দু’বছরের শাসনে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়টি নেত্রীর অনুগত ভক্তবৃন্দদের দৌরাত্ম্যে শিক্ষাঙ্গনের পরিবর্তে তৃণমূলী আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই শিক্ষাঙ্গনটিও এখন দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার হয়ে মারামারি, লাঠালাঠি এবং পেশিশক্তির বাহাদুরি প্রকাশের প্রতিযোগিতাক্ষেত্র হয়ে গেছে। পঠন-পাঠনের ব্যাপারটি মোটামুটি শিকেয় তুলে তৃণমূলী বীরপুঙ্গবরা শিক্ষাঙ্গনকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিভীষিকার অঙ্গন করে তুলেছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এখন আর এখানে নিরাপদ নয়। নিরাপত্তার অভাবে রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী এবং শিক্ষকরা। তৃণমূলের বিশৃঙ্খল, হিংস্র পেশিশক্তির রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত থাকায় অনেকে লজ্জায় মাথা অবনত করছেন। অথচ কোনো হেলদোল নেই মা মাটি মানুষের সরকারের। রাজ্যে একজন শিক্ষামন্ত্রী আছেন বলেও কেউ টের পাচ্ছেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী! তিনি কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো খবর রাখেন না?
মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন ২০১১ সালের ২০শে জুন। একমাস কাটতে না কাটতেই ঐবছর জুলাই মাসে উন্মত্ত তৃণমূল ছাত্রদের বেধড়ক মারে ক্যাম্পাসের মধ্যেই কর্তব্যরত এক শিক্ষাকর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়। এমন এক ভয়ানক ঘটনার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ‘রবীন্দ্রপ্রেমী’ মুখ্যমন্ত্রী? এতটুকুও রাশ টানার ব্যবস্থা করেছিলেন কি তাঁর ছোট ছোট ‘আদুরে’ ভৈরববাহিনীর? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এস এফ আই-র তেমন কোনো সক্রিয়তা নেই। একরকম গায়ের জোরে তৃণমূল ছাত্ররা দখল করে নেয় ছাত্র সংসদ। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে বহিরাগত অ-ছাত্র তৃণমূল দুষ্কৃতীরাও। এই তৃণমূল ছাত্র-অ-ছাত্র বাহিনীই গতবছর জুন মাসে অন-লাইনে ভর্তির বিরোধিতা করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে যথেচ্ছ হেনস্তা করে এবং ভাঙচুর করে অফিস লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ভর্তির প্রক্রিয়া তৃণমূলীদের কবজায় আনতেই হয়েছিল এই হামলা। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের উপাচার্যই অন-লাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। গত মে মাসে টোকাটুকিতে বাধা দিয়ে তৃণমূলীদের হাতে বেদম মার খান এক শিক্ষক। তার কয়েকদিন পর তৃণমূলী শিক্ষাকর্মীদের হাতে অর্ধচন্দ্র খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে প্রাণ হাতে করে বাড়ি পালাতে বাধ্য হন রেজিস্ট্রার। শিক্ষামন্ত্রী সবই শোনেন, দেখেন, বোঝেন। কিন্তু কিছুই করেন না। বলা ভালো কিছুই করতে পারেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী! তাঁর এসব নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো সময় কোথায়? সর্বশেষ এক সশস্ত্র বহিরাগত একদল তৃণমূলী নিরাপত্তারক্ষীদের মেরে হটিয়ে ঢুকে পড়ে ক্যাম্পাসে। সেখানে ভিতরের অপর এক তৃণমূলবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। শিক্ষাঙ্গন হয়ে ওঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর রণাঙ্গন। পরিণতি ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এমনকি পুলিসসহ ১৫-২০ জন জখম। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই দায়মুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এখানে বলেননি ওটা ছোটদের ছোটখাটো ব্যাপার!
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44177#sthash.EupK4Yna.dpuf
LUMPEN RAJ AT RABINDRA BHARATI UNIVERSITY
Ganashakti
রবীন্দ্রভারতীতে দুষ্কৃতীরাজ?
ভোটে জেতার পর বিজয় মিছিলের বদলে পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারস্বরে মাইক বাজিয়ে তিন-চারদিন ধরে তৃণমূল কর্মীরা এলাকার মানুষকে দিবারাত্র রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে শুধু বাধ্য করেনি, অনেকেরই শিরঃপীড়া অনিবার্য করে দিয়েছিল। পরে শহরের মোড়ে পথচারীদের রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনাবার স্থায়ী ব্যবস্থা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। সরকারী উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর আয়োজন হচ্ছে সাড়ম্বরে ঘটা করে। এহেন ‘রবীন্দ্রভক্ত’ মুখ্যমন্ত্রীর ‘রবীন্দ্রময়’ সরকারের দু’বছরের শাসনে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়টি নেত্রীর অনুগত ভক্তবৃন্দদের দৌরাত্ম্যে শিক্ষাঙ্গনের পরিবর্তে তৃণমূলী আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এই শিক্ষাঙ্গনটিও এখন দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার হয়ে মারামারি, লাঠালাঠি এবং পেশিশক্তির বাহাদুরি প্রকাশের প্রতিযোগিতাক্ষেত্র হয়ে গেছে। পঠন-পাঠনের ব্যাপারটি মোটামুটি শিকেয় তুলে তৃণমূলী বীরপুঙ্গবরা শিক্ষাঙ্গনকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিভীষিকার অঙ্গন করে তুলেছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এখন আর এখানে নিরাপদ নয়। নিরাপত্তার অভাবে রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী এবং শিক্ষকরা। তৃণমূলের বিশৃঙ্খল, হিংস্র পেশিশক্তির রাজনীতি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নাম যুক্ত থাকায় অনেকে লজ্জায় মাথা অবনত করছেন। অথচ কোনো হেলদোল নেই মা মাটি মানুষের সরকারের। রাজ্যে একজন শিক্ষামন্ত্রী আছেন বলেও কেউ টের পাচ্ছেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী! তিনি কি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো খবর রাখেন না?
মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছিলেন ২০১১ সালের ২০শে জুন। একমাস কাটতে না কাটতেই ঐবছর জুলাই মাসে উন্মত্ত তৃণমূল ছাত্রদের বেধড়ক মারে ক্যাম্পাসের মধ্যেই কর্তব্যরত এক শিক্ষাকর্মীকে প্রাণ হারাতে হয়। এমন এক ভয়ানক ঘটনার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ‘রবীন্দ্রপ্রেমী’ মুখ্যমন্ত্রী? এতটুকুও রাশ টানার ব্যবস্থা করেছিলেন কি তাঁর ছোট ছোট ‘আদুরে’ ভৈরববাহিনীর? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন এস এফ আই-র তেমন কোনো সক্রিয়তা নেই। একরকম গায়ের জোরে তৃণমূল ছাত্ররা দখল করে নেয় ছাত্র সংসদ। তারপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দখল নিয়েছে বহিরাগত অ-ছাত্র তৃণমূল দুষ্কৃতীরাও। এই তৃণমূল ছাত্র-অ-ছাত্র বাহিনীই গতবছর জুন মাসে অন-লাইনে ভর্তির বিরোধিতা করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে যথেচ্ছ হেনস্তা করে এবং ভাঙচুর করে অফিস লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ভর্তির প্রক্রিয়া তৃণমূলীদের কবজায় আনতেই হয়েছিল এই হামলা। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের উপাচার্যই অন-লাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করেছিলেন। গত মে মাসে টোকাটুকিতে বাধা দিয়ে তৃণমূলীদের হাতে বেদম মার খান এক শিক্ষক। তার কয়েকদিন পর তৃণমূলী শিক্ষাকর্মীদের হাতে অর্ধচন্দ্র খেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে প্রাণ হাতে করে বাড়ি পালাতে বাধ্য হন রেজিস্ট্রার। শিক্ষামন্ত্রী সবই শোনেন, দেখেন, বোঝেন। কিন্তু কিছুই করেন না। বলা ভালো কিছুই করতে পারেন না। আর মুখ্যমন্ত্রী! তাঁর এসব নিয়ে সময় নষ্ট করার মতো সময় কোথায়? সর্বশেষ এক সশস্ত্র বহিরাগত একদল তৃণমূলী নিরাপত্তারক্ষীদের মেরে হটিয়ে ঢুকে পড়ে ক্যাম্পাসে। সেখানে ভিতরের অপর এক তৃণমূলবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। শিক্ষাঙ্গন হয়ে ওঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর রণাঙ্গন। পরিণতি ছাত্র, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এমনকি পুলিসসহ ১৫-২০ জন জখম। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই দায়মুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী এখানে বলেননি ওটা ছোটদের ছোটখাটো ব্যাপার!
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44177#sthash.EupK4Yna.dpuf
WEST BENGAL: WHERE IS SAFETY AND SECURITY OF WOMEN AND GIRLS?
Ganashakti
নিরাপত্তা নেই
মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্যের গ্রাম শহরের মহিলারা। মহিলারা পথে বেরোলে আতঙ্কে সময় গুনছেন তাদের পরিবার। নিরাপত্তা নেই কামদুনি,খরজুনা গ্রামে। নিরাপত্তা নেই যাত্রীবাহী ট্রেনে। নিরাপত্তার অভাব কলকাতা মহানগরীতে। দুষ্কৃতীর হাত এড়াতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে হচ্ছে চাকুরিজীবী মহিলাকে। শহরের বুকে মেট্রো রেলের মধ্যে শ্লীলতাহানি হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পালটা মার খেতে হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে কলকাতা ছেড়ে দেশে চলে যেতে হয়েছে এক ফরাসী তরুণীকে। মমতা ব্যানার্জির পুলিস তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। কোন্ রাজ্যে বাস করছি আমরা? কেনই বা পুলিস প্রশাসন এতোটাই নিষ্ক্রিয়? ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার কাজেও রাজ্যের পুলিস যথেষ্ট দুর্বলতা দেখাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পার্কস্ট্রিট, কাটোয়ার ধর্ষণ থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার শুরু। মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে এই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১৩ই জুলাই রাতে যোধপুর পার্কে তার বাড়ির কাছে শ্লীলতাহানির হুমকি দিতে দিতে এক ফরাসী তরুণীকে তাড়া করে দুষ্কৃতীদল। ঐ ঘটনার পরেই কলকাতা ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন সেই তরুণী। ঐদিন রাতে কোনো পুলিসী নিরাপত্তা পাননি। ফ্রান্স থেকে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতাকে তিনি ভালোবাসেন। কিন্তু ঐ ঘটনার পর বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে। এই বিশ্বাস হারানো আসলে কলকাতার মর্যাদা হারানো।
নারীর প্রতি সম্মান জানানো এবং মর্যাদা রক্ষায় কলকাতা ছিলো সারা দেশের মধ্যে সামনের সারিতে। আজ একের পর এক ঘটনার পর সেই কলকাতাকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন, শহর কলকাতার রাস্তায় সন্ধ্যার পর আর নিরাপদ নন মহিলারা। পুলিসের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরী নয়। পুলিস পেট্রোল, পুলিস কিয়স্ক, থানা কোনটাই সক্রিয় নয়। শাসক দলের চাপে থাকায় স্থানীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায় পুলিস। এই চাপের উৎস মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনিই থানায় গিয়ে গণ্ডগোলের অভিযোগে আটক দলীয় কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এরপরে পুলিস কি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস করতে পারে? পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দায়ে শাস্তিমূলক বদলি হতে হয়েছিল কলকাতার গোয়েন্দা প্রধানকে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী চাননি পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা ধর্ষণ বলে প্রতিপন্ন হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই সব পদক্ষেপই আজকের এই নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে জনমত। কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। দেশের মধ্যে ব্যতিক্রম সম্ভবত আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে মুর্শিদাবাদের খরজুনায় ধর্ষণ ও হত্যার পর জেলার পুলিস সুপার তাকে সহবাসের ঘটনা বলে লঘু করে দেখাতে চান। পরে জনমতের চাপে পড়ে তাকে মত বদলাতে হয়। কামদুনির ঘটনায় চার্জশিট অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচার প্রক্রিয়াও আটকে যায়। কামদুনি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিস। ধর্ষক ও হত্যাকারীকে ধরতে পুলিস তৎপর নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রাখতে কাল্পনিক মাওবাদীদের খুঁজতে বেশি ব্যস্ত রাজ্যের পুলিস। ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা রুখতে কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত রেল এবং রাজ্য সরকার। গত দু’বছরের মত পশ্চিমবঙ্গ কখনও ধারাবাহিক নারী নিগ্রহের ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। গত ২ বছরে মহিলাদের ওপর যে জঘন্যতম অপরাধগুলি ঘটে গেছে তার কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কী কলকাতা, শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে অপরাধীদের হাত থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44176#sthash.z3Ii6cXF.dpuf
WEST BENGAL: WHERE IS SAFETY AND SECURITY OF WOMEN AND GIRLS?
Ganashakti
নিরাপত্তা নেই
মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজ্যের গ্রাম শহরের মহিলারা। মহিলারা পথে বেরোলে আতঙ্কে সময় গুনছেন তাদের পরিবার। নিরাপত্তা নেই কামদুনি,খরজুনা গ্রামে। নিরাপত্তা নেই যাত্রীবাহী ট্রেনে। নিরাপত্তার অভাব কলকাতা মহানগরীতে। দুষ্কৃতীর হাত এড়াতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিতে হচ্ছে চাকুরিজীবী মহিলাকে। শহরের বুকে মেট্রো রেলের মধ্যে শ্লীলতাহানি হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পালটা মার খেতে হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে কলকাতা ছেড়ে দেশে চলে যেতে হয়েছে এক ফরাসী তরুণীকে। মমতা ব্যানার্জির পুলিস তাঁকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। কোন্ রাজ্যে বাস করছি আমরা? কেনই বা পুলিস প্রশাসন এতোটাই নিষ্ক্রিয়? ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার কাজেও রাজ্যের পুলিস যথেষ্ট দুর্বলতা দেখাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পার্কস্ট্রিট, কাটোয়ার ধর্ষণ থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার শুরু। মমতা ব্যানার্জির রাজত্বে এই অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১৩ই জুলাই রাতে যোধপুর পার্কে তার বাড়ির কাছে শ্লীলতাহানির হুমকি দিতে দিতে এক ফরাসী তরুণীকে তাড়া করে দুষ্কৃতীদল। ঐ ঘটনার পরেই কলকাতা ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছেন সেই তরুণী। ঐদিন রাতে কোনো পুলিসী নিরাপত্তা পাননি। ফ্রান্স থেকে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতাকে তিনি ভালোবাসেন। কিন্তু ঐ ঘটনার পর বিশ্বাসটা হারিয়ে গেছে। এই বিশ্বাস হারানো আসলে কলকাতার মর্যাদা হারানো।
নারীর প্রতি সম্মান জানানো এবং মর্যাদা রক্ষায় কলকাতা ছিলো সারা দেশের মধ্যে সামনের সারিতে। আজ একের পর এক ঘটনার পর সেই কলকাতাকে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন, শহর কলকাতার রাস্তায় সন্ধ্যার পর আর নিরাপদ নন মহিলারা। পুলিসের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরী নয়। পুলিস পেট্রোল, পুলিস কিয়স্ক, থানা কোনটাই সক্রিয় নয়। শাসক দলের চাপে থাকায় স্থানীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায় পুলিস। এই চাপের উৎস মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তিনিই থানায় গিয়ে গণ্ডগোলের অভিযোগে আটক দলীয় কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন। এরপরে পুলিস কি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস করতে পারে? পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দায়ে শাস্তিমূলক বদলি হতে হয়েছিল কলকাতার গোয়েন্দা প্রধানকে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী চাননি পার্ক স্ট্রিটের ঘটনা ধর্ষণ বলে প্রতিপন্ন হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই সব পদক্ষেপই আজকের এই নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করেছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে জনমত। কঠোর হতে বাধ্য হচ্ছে প্রশাসন। দেশের মধ্যে ব্যতিক্রম সম্ভবত আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে মুর্শিদাবাদের খরজুনায় ধর্ষণ ও হত্যার পর জেলার পুলিস সুপার তাকে সহবাসের ঘটনা বলে লঘু করে দেখাতে চান। পরে জনমতের চাপে পড়ে তাকে মত বদলাতে হয়। কামদুনির ঘটনায় চার্জশিট অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচার প্রক্রিয়াও আটকে যায়। কামদুনি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিস। ধর্ষক ও হত্যাকারীকে ধরতে পুলিস তৎপর নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর মুখ রাখতে কাল্পনিক মাওবাদীদের খুঁজতে বেশি ব্যস্ত রাজ্যের পুলিস। ট্রেনে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা রুখতে কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত রেল এবং রাজ্য সরকার। গত দু’বছরের মত পশ্চিমবঙ্গ কখনও ধারাবাহিক নারী নিগ্রহের ঘটনার মুখোমুখি হয়নি। গত ২ বছরে মহিলাদের ওপর যে জঘন্যতম অপরাধগুলি ঘটে গেছে তার কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কী কলকাতা, শহরে এবং গ্রামাঞ্চলে অপরাধীদের হাত থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44176#sthash.z3Ii6cXF.dpuf
MALDA: তৃণমূলীদের মারে চোখের ক্ষতি পদস্থ আধিকারিকের
Ganashakti
তৃণমূলীদের মারে চোখের ক্ষতি পদস্থ আধিকারিকের
নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ, ২৪শে জুলাই — তৃণমূলের আক্রমণ থেকে এবার রেহাই পেলেন না একজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী আধিকারিক। নাম আবরার আলম, ডব্লিউ বি সি এস। কালেক্টরেটে জুডিশিয়াল মুন্সী থানার দায়িত্বে আছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কালিয়াচক-৩ ব্লকের জোনাল দায়িত্বে ছিলেন। তৃণমূলীদের আক্রমণে তিনি একটি চোখে আঘাত পান। জানা গেছে, জেলাশাসক চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভেলোরে পাঠাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানে ১নং আসনে (১৩২নং বুথ) ভোট গ্রহণ করার পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বুথের বাইরে একটি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা গেছে এরপর এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিডিও শচীন ভকত ও দায়িত্বে থাকা জোনাল অফিসার আবরার আলম। তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূল কর্মীরা ওদের ঘিরে ধরে এবং দাবি করে ঐ ব্যালটে তৃণমূল প্রার্থী টুম্পা সাহার প্রতীকে ছাপ দেওয়া আছে তাই এই ব্যালটটিকে গণনার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু দাবি নয় এই দাবি নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঐ সময় আবরার আলমের চোখে আঘাত করা হয়। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তৃণমূল প্রার্থী টুম্পা সাহা বিডিও-র বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে বলেন, বিডিও ঐ ব্যালটটি ছিঁড়ে ফেলেছেন। টুম্পা সাহা বিষয়টি ঘিরে থানায় অভিযোগ করলেও কালিয়াচক-৩ ব্লক প্রশাসন থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে থাকে।
কিন্তু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে এদিন বিডিওসহ প্রশাসনিক কর্তাদের একটি সভা ছিল। সেখানেই বিষয়টি উঠে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলাশাসক জি কিরণ কুমারের নির্দেশে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আবরার আলম পুলিস সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তাঁর চোখের চিকিৎসা করার জন্য ভেলোরে পাঠাবার নির্দেশ দেন।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44195#sthash.2nT9JyFN.dpuf
ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক-৩ ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখানে ১নং আসনে (১৩২নং বুথ) ভোট গ্রহণ করার পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বুথের বাইরে একটি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা গেছে এরপর এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিডিও শচীন ভকত ও দায়িত্বে থাকা জোনাল অফিসার আবরার আলম। তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে তৃণমূল কর্মীরা ওদের ঘিরে ধরে এবং দাবি করে ঐ ব্যালটে তৃণমূল প্রার্থী টুম্পা সাহার প্রতীকে ছাপ দেওয়া আছে তাই এই ব্যালটটিকে গণনার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু দাবি নয় এই দাবি নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ঐ সময় আবরার আলমের চোখে আঘাত করা হয়। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তৃণমূল প্রার্থী টুম্পা সাহা বিডিও-র বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে বলেন, বিডিও ঐ ব্যালটটি ছিঁড়ে ফেলেছেন। টুম্পা সাহা বিষয়টি ঘিরে থানায় অভিযোগ করলেও কালিয়াচক-৩ ব্লক প্রশাসন থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে থাকে।
কিন্তু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হলেও বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে এদিন বিডিওসহ প্রশাসনিক কর্তাদের একটি সভা ছিল। সেখানেই বিষয়টি উঠে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলাশাসক জি কিরণ কুমারের নির্দেশে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আবরার আলম পুলিস সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং তাঁর চোখের চিকিৎসা করার জন্য ভেলোরে পাঠাবার নির্দেশ দেন।
RAPE AND MURDER AT KAMDUNI: বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব
Ganashakti
বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব
নিজস্ব প্রতিনিধি
কলকাতা, ২৪শে জুলাই— কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত আদালত থেকে সরিয়ে নেবার আবেদন অবাস্তব। কেন কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলা সরানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় একথা বলেন ধর্ষিতা মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা করেছেন সি আই ডি-র তদন্তকারী অফিসার আনন্দময় চট্টোপাধ্যায়। বুধবার আইনজীবী ভট্টচার্য আদালতে বলেন, রাজ্য সরকার অর্থাৎ সি আই ডি এবং ধৃত দোষীদের পক্ষ থেকে একযোগে মামলা বারাসত থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বারাসতে মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে। আইনজীবী ভট্টচার্য বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পৃথিবীর সর্বত্র হচ্ছে। এদেশেও বিক্ষোভ হচ্ছে বহু রাজ্যে। সম্প্রতি দিল্লিতে ধর্ষনের ঘটনায় বিরাট আকারে বিক্ষোভ হয়েছে। কলকাতার গার্ডেনরিচে রাস্তার ওপরে পুলিসকর্মী খুনের ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। বারাসত আদালতের মধ্যে কোন বিক্ষোভ হয়নি। সেখানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যদি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিচারকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের কোন অভিযোগ থাকতো তাহলে মামলা সরানোর আবেদন জানানোর অধিকারের প্রশ্ন আসতো। এখানে বিচারকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। বিচারের কাজ যখন চলছে, তখন মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মামলার নিষ্পত্তি হতে অযথা দেরি করা হবে। আইনজীবী ভট্টাচার্য বলেন, ধৃত দোষীদের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, বারাসত আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোষীদের পক্ষ নিয়ে কোন আইনজীবী আদালতে থাকবেন না। এই বক্তব্য সত্য নয়। কারণ এমন কোন সিদ্ধান্ত বারাসত আদালতে নেওয়া হয়নি। এছাড়া বারাসত আদালতে দোষীদের পক্ষে আইনজীবী কাজ করছেন। এই অবস্থায় মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মূল মামলাটির ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যাবে। এদিনই মামলা সরানোর আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে
প্রসঙ্গত, কামদুনির নৃশংস ঘটনার দশ দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার দ্রুত করা হবে। তিনি বলেছিলেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই এই মামলার শুনানি হবে। বিচার প্রক্রিয়ার গোড়াতেই গলদ ধরেছিলেন বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক। তিনি বলেছিলেন কামদুনির ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সি আই ডি যে চার্জশিট দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা। বিচারক অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরও মামলার শুনানি হয়েছে বারাসতে। কামদুনি মামলার তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য কিছুই করেনি সি আই ডি। এরপরই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার চলে এসেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তদন্তকারী অফিসার বারাসত আদালতে না গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা নিয়ে এলেন কেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কামদুনির মানুষ রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, দোষীদের আড়াল করতেই রাজ্য সরকার মামলা দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থা করছে। সরকার এখনও অপরাধীদের একজনকে ধরেনি। যাদের ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকেই দোষী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কামদুনির মানুষের দাবি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44180#sthash.W1bBK6OM.dpuf
RAPE AND MURDER AT KAMDUNI: বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব
Ganashakti
বললেন ধর্ষিতা আইনজীবী কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত থেকে সরানোর যুক্তি অবাস্তব
নিজস্ব প্রতিনিধি
কলকাতা, ২৪শে জুলাই— কামদুনি ঘটনার মামলা বারাসত আদালত থেকে সরিয়ে নেবার আবেদন অবাস্তব। কেন কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলা সরানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। বুধবার হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় একথা বলেন ধর্ষিতা মৃত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা করেছেন সি আই ডি-র তদন্তকারী অফিসার আনন্দময় চট্টোপাধ্যায়। বুধবার আইনজীবী ভট্টচার্য আদালতে বলেন, রাজ্য সরকার অর্থাৎ সি আই ডি এবং ধৃত দোষীদের পক্ষ থেকে একযোগে মামলা বারাসত থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বারাসতে মানুষের বিক্ষোভ হচ্ছে। আইনজীবী ভট্টচার্য বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পৃথিবীর সর্বত্র হচ্ছে। এদেশেও বিক্ষোভ হচ্ছে বহু রাজ্যে। সম্প্রতি দিল্লিতে ধর্ষনের ঘটনায় বিরাট আকারে বিক্ষোভ হয়েছে। কলকাতার গার্ডেনরিচে রাস্তার ওপরে পুলিসকর্মী খুনের ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। বারাসত আদালতের মধ্যে কোন বিক্ষোভ হয়নি। সেখানে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। যদি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিচারকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের কোন অভিযোগ থাকতো তাহলে মামলা সরানোর আবেদন জানানোর অধিকারের প্রশ্ন আসতো। এখানে বিচারকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। বিচারের কাজ যখন চলছে, তখন মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মামলার নিষ্পত্তি হতে অযথা দেরি করা হবে। আইনজীবী ভট্টাচার্য বলেন, ধৃত দোষীদের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, বারাসত আদালতে বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দোষীদের পক্ষ নিয়ে কোন আইনজীবী আদালতে থাকবেন না। এই বক্তব্য সত্য নয়। কারণ এমন কোন সিদ্ধান্ত বারাসত আদালতে নেওয়া হয়নি। এছাড়া বারাসত আদালতে দোষীদের পক্ষে আইনজীবী কাজ করছেন। এই অবস্থায় মামলা সরানোর আবেদনের ফলে মূল মামলাটির ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যাবে। এদিনই মামলা সরানোর আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে
প্রসঙ্গত, কামদুনির নৃশংস ঘটনার দশ দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার দ্রুত করা হবে। তিনি বলেছিলেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই এই মামলার শুনানি হবে। বিচার প্রক্রিয়ার গোড়াতেই গলদ ধরেছিলেন বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক। তিনি বলেছিলেন কামদুনির ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সি আই ডি যে চার্জশিট দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও ভুলে ভরা। বিচারক অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরও মামলার শুনানি হয়েছে বারাসতে। কামদুনি মামলার তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য কিছুই করেনি সি আই ডি। এরপরই এই মামলার তদন্তকারী অফিসার চলে এসেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তদন্তকারী অফিসার বারাসত আদালতে না গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা নিয়ে এলেন কেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কামদুনির মানুষ রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, দোষীদের আড়াল করতেই রাজ্য সরকার মামলা দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থা করছে। সরকার এখনও অপরাধীদের একজনকে ধরেনি। যাদের ধরা হয়েছে তাদের মধ্যে একজনকেই দোষী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। কামদুনির মানুষের দাবি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দ্রততার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করা।
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=44180#sthash.W1bBK6OM.dpuf
BIRBHUM: হত্যাকাণ্ডের বিচার, সুরক্ষার আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে আবেদন জানালো তৃণমূলের হামলায় নিহত সাগর ঘোষের পরিবার। বীরভূমের পারুইয়ের কসবা এলাকার নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগর ঘোষ চতুর্থ দফা ভোটের দিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, মারা যান মঙ্গলবার। বুধবার হৃদয় ঘোষের স্ত্রী শিবানী ঘোষ রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে চিঠি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও।
তামিলনাডুর পূর্ব উপকূলের শহর কুড্ডালোরে বুধবার শুরু হয়েছে সারাভারত কিষান সভার ৩৩তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। পতাকা উত্তোলন করেন প্রবীণ মার্কসবাদী নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামী এন শঙ্করাইয়া, অতীতে যিনি ছিলেন সারাভারত কিষান সভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে। সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি এস রামচন্দ্রন পিল্লাই কৃষি উন্নয়নে বিকল্প নীতির জন্য লড়াইয়ে বামপন্থী কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনগুলির মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য চান। তিনি বলেন, খেতমজুর এবং গরিব ও মধ্য কৃষকের স্বার্থ রক্ষাই হবে এই নীতিগুলির ভিত্তি। কারণ কৃষক সমাজে তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই লড়াইয়ে অন্যান্য গণতান্ত্রিক কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গেও শামিল হবে কিষান সভা। পাশপাশি শ্রমিকশ্রেণী ও অন্যান্য মেহনতী মানুষের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনও জারি রাখবে। উপস্থিত সারাভারত কিষান সভা (৪উইন্ডসর প্লেস)-র সাধারণ সম্পাদক অতুলকুমার অঞ্জন যৌথ শ্রমিক আন্দোলনের মতো যৌথ কৃষক আন্দোলনের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, একমাত্র যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার মধ্যে দিয়েই আমরা গ্রাম ভারতের পরিবর্তন আনতে পারি।
দেশে দারিদ্র্য দ্রুত কমছে বলে যোজনা কমিশনের দাবি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। যোজনা কমিশন মঙ্গলবার এন এস এস ও সমীক্ষার ভিত্তিতে জানিয়েছে, ২০১১-১২’র হিসেবে দেশের ২১.৯ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যরেখার নিচে রয়েছেন। এই হার ২০০৪-০৫—এ ছিল ৩৭.২শতাংশ। প্রায় ১৫শতাংশ দারিদ্র্য হ্রাসের এই হিসেব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। দারিদ্র্যের মাপকাঠি নিয়ে পুরানো বিতর্কও ফিরে এসেছে। যোজনা কমিশনের যে মাপকাঠি দেশব্যাপী ধিক্কারের মুখে পড়েছিল, তাকেই বহাল রেখে জানানো হয়েছে গ্রামে মাথাপিছু মাসিক ৮১৬টাকা এবং শহরে মাথাপিছু মাসিক ১০০০টাকা ব্যয়ের ক্ষমতাকেই দারিদ্র্যের ঊর্ধ্বসীমা ধরা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রামে দিনে ২৭.২০টাকা এবং শহরে ৩৩.৩৩টাকা ব্যয়ের ক্ষমতা পর্যন্তই দরিদ্র বলে স্বীকৃত হবে। এর থেকে বেশি, ধরা যাক গ্রামে ২৮টাকা বা শহরে ৩৪ টাকা খরচের ক্ষমতা থাকলেই তিনি দরিদ্র বলে বিবেচিত হবেন না। পাঁচজনের পরিবার ধরে গ্রামে ৪০৮০ এবং শহরে ৫০০০টাকার ঊর্ধ্বে ব্যয়ক্ষমতা থাকলে দারিদ্র্যসীমার মধ্যে সেই পরিবার থাকবে না।
গুজরাট দাঙ্গার প্রতীক নরেন্দ্র মোদীকে কেন্দ্র করে এন ডি এ-তে শুধু ভাঙনই ধরেনি, এবার সেই ভাঙনের চোরাস্রোত ঢুকে পড়েছে বিহার বি জে পি-র অভ্যন্তরেও। ইতোমধ্যে একজন বি জে পি বিধায়ক সাসপেন্ড হয়েছেন। অনুরূপ শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে আরও কয়েকজন বিধায়কের বিরুদ্ধে। বি জে পি-র পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে জে ডি (ইউ)-র দল ভাঙনোর খেলা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হলেও বি জে পি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে আড়াল করার উপায় নেই। বি জে পি-জে ডি (ইউ)-র ১৭ বছরের নিবিড় ও গভীর সম্পর্ক আজ এতটাই তলানিতে এসে পৌঁছেছে এখন একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে দ্বিধা করছে না। পাশাপাশি বিহারের রাজনীতিতে নতুন ধরনের বিন্যাসের প্রক্রিয়া জোরালো হয়ে উঠেছে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই পরিচিত রাজনৈতিক জোটের ছবিটা বদলে যাবার ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে।
দায় এড়ানো পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস ও হিংসার দায় এড়াতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ দফা পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী কিছু অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার কথা শুনে এক বা দু’দিনে ভোট হয়ে গেলে একটাও খুন হতো না। জোর করে পাঁচ দিনে ভোট করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তৃণমূল সন্ত্রাস চায় না। সবাইকে বলছি, শান্তি রাখুন। মানুষকে ভোট দিতে দিন।’ দক্ষিণবঙ্গের তিন দফার ভোট শেষ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর এই অজুহাত এবং আপ্তবাক্যের কথা মনে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন না রক্তপাত শুরু হয়েছে নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা শুরুর হওয়ার সময় থেকে। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি থেকে এপর্যন্ত ২৯ জন বামপন্থী কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। আক্রমণ, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ফলে গ্রামের অনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে অনেককে। বামপন্থী প্রার্থীর পরিবার অত্যাচারিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কি এসব তথ্য জানতে পারেননি? পুলিস প্রশাসন কি এই আক্রমণের রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাতে সাহস করেনি? ভোটের জন্য এই হিংসার কি যুক্তি দেবেন তৃণমূল নেত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই জেলার পুলিস প্রশাসন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেনি। পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, সরকার সরকারের মতোই চলবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে গোড়া থেকেই শাসক দলের নির্দেশে কাজ করেছে রাজ্যের প্রশাসন। মহাকরণের চাপে ডি এম, এস পি-দের পক্ষে নিরপেক্ষতা রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না।শাসক দলকে প্রশাসনের মদত দেওয়ার ফলেই হিংসা, রক্তপাত বেড়েছে। সাধারণভাবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই প্রশাসন ভারতের নির্বাচন কমিশন বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ভোটের সময় নিরপেক্ষতা রক্ষা করতেই প্রশাসনকে আনা হয় কমিশনের এক্তিয়ারে। ব্যতিক্রম হলো এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। কমিশনকে উপেক্ষা করে সর্বদলীয় বৈঠকেও যোগ দেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল সরকার আসার পর থেকেই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে বামপন্থী ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ১৭টি জেলায় প্রায় ৪৮ হাজার আসনে ভোটগ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী দরকার। একদিনে ভোটের আয়োজন করলে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের পক্ষেই নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যায় দেওয়া সম্ভব নয়। জেলাগুলির ভৌগোলিক অবস্থান ধরে দফা ভেঙে ভোটের সময়সূচী স্থির করলে তবেই নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার ভোটারদের স্বার্থে নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়নি। আদালতের আদেশে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিতে বাধ্য হলেও আইনের বাধা দেখিয়ে তাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বসিয়ে রাখা হচ্ছে। দফা ভাঙার সুবিধা নিয়েছে শাসক দল। তারা তাদের সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনীকে দফা ধরে জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে। অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে বসিয়ে রাখা হয়েছে। দলের পক্ষে দফাওয়াড়ি ভোটের পূর্ণ সুযোগ নিয়ে তৃণমূল নেত্রী এখন ‘একদফা’ এবং ‘শান্তির’ কথা বলে রাজনৈতিক ভণ্ডামি শুরু করছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতার ফলে কমিশনের পর্যবেক্ষকরা কার্যত কোনও ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তিন দফার পর মুখ্যমন্ত্রীর শান্তির বার্তা আসলে অর্থহীন। কারণ তাদের দলের নেতারা বোমা মারার, মুণ্ডু নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সেই হুমকির জেরে একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ভোটে হিংসার শিকার হচ্ছে শিশু, মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রীর শান্তি রক্ষার সদিচ্ছা থাকলে দলের লোকেদের আগে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতেন। কিন্তু সে পথে না গিয়ে বিরোধী দল এবং কমিশনকে অভিযুক্ত করে রক্তপাতের দায় এড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চোখের জলকে ঘৃণার আগুনে পরিণত করেছে শহীদের গ্রাম জামুড়িয়ার মধুডাঙা। মঙ্গলবার বর্ধমান জেলার মহিলানেত্রীরা মধুডাঙায় এসে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন। শহীদ কমরেড শেখ হাসমতের বাড়ির উঠোন বলে কিছু নেই। রয়েছে ছোট্ট এক কুঠুরির একটা ঘর। প্রতিবেশীদের বাড়ির উঠানে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মহিলা। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে পাশে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ-পত্নী মনুয়ারা বিবি। গ্রামের মানিক-সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের দখল নিতে এসেছিল বহিরাগত তৃণমূলীরা। তাদের ছোঁড়া বোমায় ভোটের দিন সাতসকালে মৃত্যু হয় সি পি আই (এম) প্রার্থী মনুয়ারা বিবির স্বামী শেখ হাসমতের। রমজানের রোজা রেখেছিলেন কমরেড হাসমত। তাজা প্রাণের হাসমতের মৃত্যুতে রমজান যেন কেমন বেজান হয়ে গেছে এই গ্রামে, এই তল্লাটে। প্রথম রাজনৈতিক খুন প্রত্যক্ষ করলেন গ্রামের মানুষ তৃণমূলী ‘পরিবর্তন’-এর জমানায়।
Monday, July 22, 2013
টেলিকম ক্ষেত্রে এফ ডি আই-র ঊর্ধ্বসীমা ৭৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে ক্ষেত্র বিশেষে ২৬ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এই দু’টি স্পর্শকাতর ক্ষেত্রকে বহুজাতিক সংস্থাগুলির মুনাফা বৃদ্ধির স্বার্থে তাদের হাতে সঁপে দেওয়ারই নামান্তর মাত্র। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া থেকে একথা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এফ ডি আই বৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আপত্তিকেও প্রধানমন্ত্রী নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সম্পূর্ণ রক্তাক্ত নির্বাচনে পরিণত করলো শাসক দল। শুধুমাত্র ভোটের দিন নয়। ভোটের পরেও আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামবাংলা। বিরোধী বিশেষত বামপন্থী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অপরাধে আক্রান্ত হতে হচ্ছে বাংলার গ্রামের মানুষকে। এপর্যন্ত ৯টি জেলার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর দুই দফায় আটটি জেলা বাকি। যেসব জেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে তার মধ্যে বেশ কিছু অঞ্চলকে টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে শাসক দল। সেই অঞ্চলগুলিতে ভোটের দিনগুলিতে চলেছে ব্যাপক সন্ত্রাস, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সম্পূর্ণ রক্তাক্ত নির্বাচনে পরিণত করলো শাসক দল। শুধুমাত্র ভোটের দিন নয়। ভোটের পরেও আক্রান্ত হচ্ছে গ্রামবাংলা। বিরোধী বিশেষত বামপন্থী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার অপরাধে আক্রান্ত হতে হচ্ছে বাংলার গ্রামের মানুষকে। এপর্যন্ত ৯টি জেলার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর দুই দফায় আটটি জেলা বাকি। যেসব জেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে তার মধ্যে বেশ কিছু অঞ্চলকে টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে শাসক দল। সেই অঞ্চলগুলিতে ভোটের দিনগুলিতে চলেছে ব্যাপক সন্ত্রাস, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট।
গভীর রাতে হাসপাতালে ঢুকে কর্তব্যরত নার্সিংস্টাফের সাথে অশালীন আচরণ করলেন রাজগঞ্জের তৃণমূলী বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এই বিধায়ক আবার রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানও বটে। অভিযোগ তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বিধায়কের এহেন আচরণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া সেই নার্সিংস্টাফ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা চালান।
Saturday, July 13, 2013
পঞ্চায়েত নির্বাচন : উদ্বাস্তু ও গ্রামীণ জনগণ
Ganashakti
- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=43633#sthash.h17vb0UC.dpuf
নির্বিঘ্নে! ‘নির্বিঘ্নে ভোট’ নয়। নির্বিঘ্নে শাসক দলের সন্ত্রাস। প্রথম দফার ভোটের দিন তিন জেলার বড় অংশ জুড়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ভোটারদের নির্বিঘ্নে হুমকি দিয়েছে। তৃণমূলের বাহিনী বাধাহীনভাবে বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বুথ দখল বা ছাপ্পা ভোট দেওয়ার কাজেও বাধা পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে এরাজ্যে। কিন্তু শাসক দলের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে। অর্থাৎ আদালত নিরাপত্তা রক্ষার আদেশ দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীও এসেছে আবার শাসক দল বুথ দখলও করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার কারণ শুধু সংখ্যা বৃদ্ধি নয়। রাজ্য পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য পুলিস। অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলের পুতুলে পরিণত হয়েছে পুলিস প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। ফলে ভোটারদের অবাধ ভোট দিতে সাহস যোগাতে পারতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে আটকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি। নিয়মানুসারে চার জনের কমে কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। অর্থৎ কোন সিঙ্গল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যাবে না। তিন জেলার মোট ১০ হাজার ৩৮টি বুথের মধ্যে সিঙ্গল বুথ ছিলো ৭ হাজার ৩৪২টি। ফলে এই ৭০ শতাংশ সিঙ্গল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। ভোটারদের মনে সাহস যোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চও করার ব্যবস্থা করেনি জেলা প্রশাসন। বরং বাইকবাহিনীর টহলদারিকেই প্রশ্রয় দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের আদেশ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু সেই ব্যবস্থার কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ করা যায়নি। প্রথম দফার তিন জেলার বহুজায়গায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। গ্রামের মধ্যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সংগঠিতভাবে হুমকি দিয়েছে। শুধুমাত্র একটি দুটি বুথ দখল নয়, গোটা ব্লক দখল করেছে তৃণমূল। পুলিসের সামনেই চলে বুথ দখল। ব্যালটবক্স ছিনতাই করা হয়। প্রার্থী থেকে ভোটকর্মী, প্রিসাইডিং অফিসার সকলেই আক্রান্ত হন। ভোটপর্বের শুরুতে একদফা সন্ত্রাস চালিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকগুলি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হুমকি, সন্ত্রাস, আক্রমণের ফলে অনেক জায়গাতেই শেষপর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি বামফ্রন্ট প্রার্থীরা। কমিশন চাইলেও মনোনয়নপর্ব শুরুর সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি এরাজ্যে। সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এই তিনটি জেলায় ৮২৭৩টি আসনের মধ্যে ১৪৬৪টি আসন দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিন জেলায় ২৭৭৯টি আসনের মধ্যে ২৪২টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটগ্রহণের প্রথম দফা থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষকের আনুষ্ঠানিক উপস্থিতির আড়ালে ছলে, বলে কৌশলে আসন দখল করছে তৃণমূল। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ দেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আরও তৎপর হওয়া উচিত। ভোট গ্রহণের উপর পর্যবেক্ষকদের নজরদারি আরো বেশি জোরদার করা দরকার। মিডিয়ার পরিবেশিত সংবাদ থেকেও নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন ও টহলদারি কতটা হচ্ছে তা কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি তত্ত্বাবধান করা দরকার। জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা কতটা নিরপেক্ষভাবে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছে সে ব্যাপারে কমিশনের আরো সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আর অন্যান্য মন্ত্রীরা পরিকল্পনামাফিক কমিশনের উদ্দেশ্যে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা প্রতিহত করতে হবে কমিশনকেই।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বারাসাত, ১২ই জুলাই— কামদুনির ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সি বি আই তদন্ত চেয়ে শুক্রবার আদালত চত্বরে বিক্ষোভে সোচ্চার হলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরাও। এদিন সি আই ডি-র পেশ করা অসম্পূর্ণ চার্জশিট নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল বারাসত জেলা আদালতের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। কিন্তু আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় আদালত বসেনি। শুধু আসামীদের একবার দেখতে চান বিচারপতি। এরপর পরবর্তী শুনানি ২২শে জুলাই হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বারাসাত, ১২ই জুলাই— কামদুনির ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সি বি আই তদন্ত চেয়ে শুক্রবার আদালত চত্বরে বিক্ষোভে সোচ্চার হলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীরাও। এদিন সি আই ডি-র পেশ করা অসম্পূর্ণ চার্জশিট নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল বারাসত জেলা আদালতের তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। কিন্তু আইনজীবীদের কর্মবিরতি থাকায় আদালত বসেনি। শুধু আসামীদের একবার দেখতে চান বিচারপতি। এরপর পরবর্তী শুনানি ২২শে জুলাই হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি: নয়াদিল্লি, ১২ই জুলাই— জেল বা পুলিস হেফাজতে থাকা কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সি পি আই (এম) পলিট ব্যুরো। এই রায় নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করবে বলে পলিট ব্যুরো অভিযোগ করেছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(৪) ধারাকে অবৈধ ঘোষণা করে আরো একটি রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার উদ্দেশ্যকে স্বাগত জানিয়েও পলিট ব্যুরো বলেছে, এই রায়ের ফলেও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। সেই রায়েরও পর্যালোচনা হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ নির্দেশে বলেছে, জেল বা পুলিস হেফাজতে থাকা কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। পলিট ব্যুরো বলেছে, কোনো বিচারাধীন ব্যক্তি যিনি কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি অথবা পুলিস হেফাজতে থাকা কোনো ব্যক্তি যিনি এখনও বিচারেরই মুখোমুখি হননি, দণ্ডপ্রাপ্তও নন, তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক সময়েই সাজানো মামলা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও জেলে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ বিচারাধীন ব্যক্তি। আইনি ও বিচারবিভাগীয় ব্যবস্থার অদক্ষতা ও পক্ষপাতের জন্য তাঁরা অন্যায়ভাবেই তাঁদের মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শীর্ষ আদালতের রায়ের বড় আকারে অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। কাউকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে আটকানোর জন্য শাসক দল ও সরকার তাঁকে বন্দী করে রাখতে পারে। পলিট ব্যুরো বলেছে, এই রায় বিচারবিভাগের অতি প্রসারতা এবং এই রায় বাতিল হওয়াই উচিত।
এক মাসে দু-দু’বার বাজার থেকে ধার করার এমন নজির সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু বেহিসেবি খরচে রাশ না টানার ফলে শুধু জুলাই মাসেই রাজ্য সরকার দু’বার ধার করতে বাধ্য হলো । গত ২রা জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১হাজার কোটি টাকা ধার করেছিল রাজ্য সরকার। সেই ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই ১৪দিনের মাথায় ফের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে আরও ১হাজার কোটি টাকা ধার করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৬ই জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ফের ধার নেওয়া হচ্ছে ১হাজার কোটি টাকা। আর্থিক বছর (২০১৩-১৪) সবে তিন মাস ১১দিনে পড়েছে। তার মধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বাজার থেকে পাঁচবার ধার করে নিয়েছে। গত ১৮ই জুন ২হাজার কোটি টাকা, ২১শে মে ১হাজার কোটি টাকা, ১৪ই এপ্রিল ১হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে রাজ্য সরকারের ধার করা হয়ে গেছে। যার অর্থ, আর্থিক বছরের তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বাজার থেকে ৬হাজার কোটি টাকা ধার করে নিল।
কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার বারাসত আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। ওই অতিরিক্ত চার্জশিটে আরও তিন অভিযুক্তের নাম ঢোকানো হয়েছে। আগে সিআইডি যে-চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতে সইফুল আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অসম্পূর্ণ চার্জশিট দেওয়ায় বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিআইডি-কে। কামদুনিবাসীও বিক্ষোভ দেখান। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার বারাসত আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। ওই অতিরিক্ত চার্জশিটে আরও তিন অভিযুক্তের নাম ঢোকানো হয়েছে। আগে সিআইডি যে-চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতে সইফুল আলি নামে এক দুষ্কৃতীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। অসম্পূর্ণ চার্জশিট দেওয়ায় বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিআইডি-কে। কামদুনিবাসীও বিক্ষোভ দেখান। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
পেনশনে দেরি করায় দুই প্রধান শিক্ষককে আদালতে হাজির করানোর জন্য হুগলি ও বর্ধমানের পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। দুই এসপি-র কেউই সেই নির্দেশ পালন করেননি। আদালত অবমাননার দায়ে পড়েছেন দু’জনেই। তাঁদের মধ্যে এক জন শুক্রবার উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। আর অন্য পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে জানাতে হবে, আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে তাঁকে জেলে পাঠানো হবে না কেন।
সুপ্রিম কোর্টে ফের বেকায়দায় রাজ্য সরকার। এ বার কর্মী নিয়োগ নিয়ে। বামফ্রন্ট আমলে, ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেচ দফতরে চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য ১ হাজার ৪৪৬ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইবুন্যাল (স্যাট)-এ মামলা করেন দু’জন। নিয়োগ পদ্ধতি যথাযথ নয় বলে রায় দেয় স্যাট। এর পর কলকাতা হাইকোর্টও স্যাটের ওই রায় বহাল রাখলে নিয়োগ তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। স্যাট ও হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই তালিকা নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালে যে মন্তব্য করেছে, রাজ্য সরকারকে তা অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। মামলাটির রায় ঘোষণা হতে পারে কাল। তবে তার আগে বিচারপতিরা আজ মত প্রকাশ করেছেন, ২০১০ সালে যাঁদের নাম নিয়োগের জন্য তালিকভুক্ত হয়েছিল, অবিলম্বে তাঁদের নিয়োগ করা উচিত।
The CPM on Friday said there was nothing secret about its bank account after details were published in a leading Bengali daily here and Chief Minister Mamata Banerjee demanded a probe. "It is known to all that our party funds are enriched by the levy deposited by our party MPs, MLAs, councillors and even workers which helps us to run the party," CPM state secretariat member Robin Deb told PTI. Stating that there was nothing illegal as alleged, he claimed that the source of the money was "clear and open".
Subscribe to:
Posts (Atom)